কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে

কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে

রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকাতেই সাধারণ লোকদেরকে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করছেন স্থানীয় যুবকরা। তাদের দেয়া নির্ধারিত দামে চামড়া না দিলে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাউকে পরে টাকা দেয়ার কথা বলেও অনেকের চামড়া ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে।

আশকোনার লিয়াকত আলী ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কোরবানির জন্য গরু কিনেছিলেন। কিন্তু ওই এলাকার স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচয় দিয়ে কয়েকজন যুবক মাত্র ৫’শ টাকা দিয়ে গরুটির চামড়া নিয়ে গেছে। তার মতো সবার কোরবানির চামড়াই কম দামে নিচ্ছেন মহল্লার ছেলেরা। যারা রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন অঙ্গসংঠনের সঙ্গে যুক্ত।

জানা গেছে, ঈদ মৌসুমে চামড়া ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট দামে চামড়া সরবরাহ করে থাকে। সরকার গরুর চামড়া বর্গফুট প্রতি ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও তারা এই দামে তো নয়ই অনেক সময় লুট করে নেয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

এই সিন্ডিকেটের সদস্য উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়ের বরকত আলী জাগো নিউকে জানান, ‘চামড়া প্রতি আমরা তিন/চার’শ টাকা লাভ করি। এইটা এমুন কী? এসব ট্যাকাতো হুজুরেরাই খায়।’

তবে শান্তিনগরের চামড়া সরবরাহকারী আবুল মুমিন দাবি করেন, ‘ট্যানারি মালিকদের জন্য আমরা চামড়া সংগ্রহ করি। আর চামড়ার মালিকদেরও আমরা ন্যায্য দাম দিই।’

বনশ্রীর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একদল যুবক কয়েকটি বাড়ি থেকে জোর করে চামড়া নিচ্ছেন। মালিক জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, রামপুরার রাস্তায় গেলে তাদের দাম দেয়া হবে। ওই যুবকরা মালিকদের নাম আর চামড়ার রং লিখে রাখছেন।

ওই এলাকার রফিক নামে এক ভাড়াটিয়া চামড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন দুজন যুবক। এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এ প্রতিবেদক তাদের নাম জানতে চাইলে ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন যুবক দুজন।

কাঁঠালবাগানের সিন্ডিকেটের অপর এক সদস্য কবির জানান, তারা কোনো দল করেন না, এলাকার পোলাপান হিসেবে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment